অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঝালকাঠির ভূমিহীন নারী নরসুন্দর শেফালী রানী শীল খুঁজে পেলেন আশ্রয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে দেয়া হলো ৪ শতাংশ জমি। সে জমিতে তিন কক্ষের একটি ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করা হচ্ছে ক’দিনের মধ্যেই। আর শেফালী রানীর অস্থায়ী ঘরে গিয়ে এসব পৌঁছে দিলেন সরকারের খোদ দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো. এনামুর রহমান নিজেই।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) সকালে ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার শৈলজালিয়া ইউনিয়নের কাঁদামাটির প্রত্যন্ত এলাকা বলতলা গ্রামে পৌঁছান দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো. এনামুর রহমান। এসময় তার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসীন, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং প্রশাসনের কর্মকর্তার যোগ দেন এ মাহেন্দ্রক্ষণে।
প্রায় এক যুগ আগে শেফালীর স্বামী বিশ্বনাথ শীল নিরুদ্দেশ হন। এরপর অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতেন এবং নারী হয়েও স্বামীর পেশা নরসুন্দরের কাজ করেন তিনি। ৫ ছেলে মেয়েকে লেখা পড়া করিয়ে সংগ্রামী জীবন যাপন করে আসছেন শেফালী। ভূমিহীন এ নারী শেফালীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়।
এদিকে শেফালীর বাড়িতে এসে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মো. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। আর সে লক্ষেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শেফালী রানীকে সরকারের পক্ষ থেকে ৪ শতাংশ জমি এবং তিনটি বেডরুম ও কিচেন এবং বাথরুম-টয়লেটসহ ঘর তৈরি করে দেয়া হচ্ছে। আজ জমির দলিল হস্তান্তর করা হল। আগামী ৭ দিনের মধ্যেই ঘর তৈরির কাজ শুরু হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ দেখেই প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। আর এতে প্রমাণিত হয়, শেখ হাসিনা একজন মানবতাবাদী মানুষ একজন মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার সরকার একটি কল্যাণমুখী সরকার।
